ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না

দখলদারদের লোভের শিকারে খুলনা বিভাগের ৩৭ নদী সংকটাপন্ন

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:১৯:৩১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:১৯:৩১ পূর্বাহ্ন
দখলদারদের লোভের শিকারে খুলনা বিভাগের ৩৭ নদী সংকটাপন্ন
মোংলা প্রতিনিধি
দেশে এমন কোনো নদী বা জলাধার নেই যা দখলদারদের লোভের শিকার হয়নি। দেশে মোট নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৮টি। খুলনা বিভাগে নদ-নদীর সংখ্যা ১৩৮টি। দখলদারদের লোভের শিকারে খুলনা বিভাগের ৩৭টি নদী সংকটাপন্ন। এরমধ্যে ২১টি নদী প্রবাহমান নেই, ৭টি নদী আংশিক প্রবাহমান রয়েছে। বিষ দিয়ে মাছ নিধনের ফলে সুন্দরবনের নদ-নদীর জলজ প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য অস্তিত্বর সংকটে পড়েছে। গত শুক্রবার  মোংলা ও পশুর নদীর মোহনায় নদী পরিদর্শন ও নদীতে অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
আমাদের নদীগুলো, আমাদের ভবিষ্যৎ সেøাগানে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ নদী পরিদর্শন ও নদীতে অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়। নদী পরিদর্শন ও নদীতে অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা সমন্বয়কারী, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন অধ্যক্ষ মো. সেলিম। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, পরিবেশযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, ধরার নেতা গীতিকার মোল্লা আল মামুন, নারীনেত্রী কমলা সরকার, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র নাজমুল হক, পরিবেশকর্মী ইদ্রিস ইমন, নদীকর্মী হাছিব সরদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার ডলার মোল্লা ও মেহেদী হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যক্ষ মো. সেলিম বলেন আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ হিসেবে গড়ে উঠেছে নদ-নদীগুলো। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, পদ্মা, যমুনা, পশুর, রুপসা, সুরমা, তিস্তা অসংখ্য নদীর বিস্তৃত জালিকা বাংলাদেশের প্রাণ।
কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, উজানের দেশগুলোর পানি প্রত্যাহার, দূষণ, দখল, অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের নদীগুলো আজ অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। নারী নেত্রী কমলা সরকার বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণের ফলে সুন্দরবনের নদ-নদীর মাছে বিষাক্ত পদার্থ পাওয়া যাচ্ছে যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। নদী ও সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি।
সভাপতির বক্তব্যে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখস বলেন, শিল্প বর্জ্য, প্লাস্টিক বর্জ্য, জাহাজি বর্জ্য এবং কৃষি রাসায়নিকের কারনে নদী দূষণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের নদীগুলোর অস্তিত্ব সংকটের আরেকটি প্রধান কারন। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং লবণাক্ততার কারণে উপকূলীয় নদীগুলোর পানি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে। যা কৃষি ও সুপেয় পানির সংকট বাড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গঙ্গার পানি প্রবাহ হ্রাসের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সুন্দরবনের নদীগুলোতে লবণাক্ততা বাড়ছে। এর ফলে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ধ্বংস হচ্ছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য